History

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস   



নাম করন: সিলেট জেলা সদরের নিকটবর্তী নবগঠিত দক্ষিন সুরমা ও উপজেলা সদর দপ্তরের পূর্ব পাশে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী গ্রাম দাউদিপুরে শায়িত ওলীকুল শিরমনি হযরত শাহ জালাল (র:) এর অন্যতম সহচর হযরত শাহ দাউদ কোরেশী (রহ:) এর নামানুসারে এ প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নামকরন করা হয়।
প্রতিষ্ঠাকাল:  বৃহত্তম সিলেট বিভাগের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে অত্র প্রতিষ্ঠানটি অন্যতম যা ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: এতদঞ্চলে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে এলকার শিক্ষানুরাগী ও দানশীল ব্যক্তিবর্গরে প্রচেষ্ঠা ও দানের মাধ্যমে ১৮০০ খ্রিষ্ঠাব্দে বর্তমান দাউদপুর জামে মসজিদের পাশে মক্তব আকারে মাদ্রাসাটি স্থাপন করা হয়। এরপর দীর্ঘ পরিক্রমায় ইহা ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে অবদান রেখে সুনামের সহিত অদ্যাবধি তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। উনিশ শতকের প্রথমদিকে ভূমি সংকটের কারনে মাদ্রাসাটির স্থান পরিবর্তন করে দাউদপুর জামে মসজিদের পূর্ব পাশে মাদ্রাসাটি পূণ: প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাদ্রাসাটির ভূমি দাতা হিসেবে অত্র এলাকার ‘বিশিষ্ঠ ব্যাক্তিবর্গ অবদান রেখেছেন। তন্মধ্যে জনাব ইমাম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, জনাব মরহুম তৈয়বুর রহমান কোরেশী, জনাব মরহুম মফজ্জিল আলী চৌধুরী, জনাব মরহুম শফিকুর রহমান চৌধুরী, ফরিজাবানু ওয়াক্ফ ষ্টেইট এর পক্ষে জনাব মরহুম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, জনাব শওকত আহমদ চৌধুরী, জনাব নজির আহমদ চৌধুরী, জনাবা মমতাজ বেগম চৌধুরী, জনাবা মরহুমা আজিফা খাতুন চৌধুরী, জনাব মো: বদরুল আলম কোরেশীর নাম বিশেষভাবে উলে­খ যোগ্য। দাতা হিসাবে এবং পূষ্টপোষক হিসেবে মাদ্রাসার জন্য যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন তনমধ্যে দাউদপুর গ্রামের কৃতিসন্তান সিলেট-৩ আসনের সাবেক এম, পি জনাব শফি আহমদ চৌধুরী, জনাব মরহুম ই, এ চৌধুরী (সাবেক আই, জি, পি) জনাব ইমাম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, জনাব শওকত আহমদ চৌধুরী, নাম বিশেষ ভাবে উলে­খ যোগ্য। মাদ্রাসাটি দীর্ঘ পরিক্রমায় বিভিন্ন সময়ে বেসরকারী ভাবে পরিচালিত হয়ে আসার পর ১৯৫৯ সনে গোলাপ গঞ্জ উপজেরার ফুলসাইন্দ গ্রামের বিশিষ্ঠ আলেমে দ্বীন জনাব মরহুম মাওলানা ইছহাক আহমদ খান মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন। তিনি তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে ১৯৬০ সনে মাদ্রাসাকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল স্থরে এবং ১৯৭৬ ইং সনে আলিম স্তরে উন্নীত করেন। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে,মাদ্রাসাটি আলিম স্থরে উন্নিত করনের লক্ষ্যে তথকালীন অধ্যক্ষ জনাব মাওলানা ইছহাক খান মাদ্রাসা ভবনের অপ্রতুলতার কারনে মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক আলিম স্থরের জন্য অনুমোদন প্রদানে আরো একটি ভবন নির্মানে  শর্ত প্রদান করলে বিষয়টি দাউদপুরের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব শফি আহমদ চৌধুরী এবং তথকালীন ডি আই জি চট্রগ্রাম জনাব ই এ চৌধুরী মহোদয়গনের স্মরনাপন্ন হয়ে আলিম স্থর খুলার জন্য মাদ্রাসায় আরও একটি ভবন নির্মান করে দেয়ার  অনুরুধ করেন । তাহার অনুরুধের প্রেক্ষিতে জনাব শফি আহমদ চৌধুরী ও জনাব ই এ চৌধুরী মাদ্রাসার কমিটির সাথে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত করে তাদের পিতার নামটি শাহ দাউদ কোরেশী রহঃ এর নামের "দাউদিয়া" অংশের পরে "গৌছ উদ্দিন" নামটি সংযুক্ত করা হয় । মূলত: ঐ সময় থেকে মাদ্রাসাটি ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে অদ্যাবধি সুষ্ট ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০০০ ইং সনে তৎকালীন অধ্যক্ষ জনাব মাওলানা ইছহাক আহমদ খান অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করলে ২০০১ সনে জনাব মাও: রিয়াজ উদ্দিন সাহেব অত্র মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন। এবং অদ্যাবধি সুনামের সাথে ও দক্ষতার সহিত মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্টানটিতে লেখা পড়া করে দেশে বিদেশে সুনাম অর্জন করে অনেকেই বিখ্যাত ও স্বনাম ধন্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম বিশেষ ভাবে উলে­খযোগ্য তারা হলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, হাদীস বিশারদ কলকাতা টাইটেল মাদ্রাসার অধ্যাপক হযরত হরমুজ উল­া সয়দা (রহ:), বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম হযরত মাওলানা আব্দুল মান্নান, সাবেক, আই, জি, পি জনাব মরহুম ই, এ চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সাবেক এম, পি বিশিষ্ঠ শিল্পপতি জনাব শফি আহমদ চৌধুরী, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা জনাব ইমাম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সাবেক খাদ্য পরিদর্শক বাংলাদেশ জনাব মরহুম নূর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অনেক কৃতি-ছাত্র তাদের কৃতিত্ব প্রদর্শন করে অত্র মাদ্রাসার গৌরবময় ইতিহাসে চিরস্ময়নীয়  হয়ে রয়েছেন।